নিজস্ব প্রতিবেদক : বিজয়া দশমীর মধ্যেদিয়ে শেষ হলো সনাতন ধর্মালম্বীদের বৃহৎ উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জন দিতে শুরু করেছেন রাজশাহীর হিন্দুধর্মাবলম্বীরা।
চারপাশে ঢাকের বাজনার সঙ্গে নাচছেন যুবক-যুবতী ও কিশোরীরা। কেউ কেউ দেব-দেবীর উদ্দেশ্যে দিচ্ছিলেন উলুধ্বনি। এই বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হলো বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় আয়োজন শারদীয় দুর্গোৎসব।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে মহানগরীর আলুপট্রি ও কুমারপাড়া সংলগ্ন পদ্মা নদীতে প্রতীমা বির্সজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে প্রতীমা বির্সজনের কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিমা বির্সজন কার্যক্রম চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
পাশাপাশি প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। দেবীর বন্দনায় প্রতিটি পূজামন্ডপে থাকবে কেবলই বিষাদের ছায়া। মাকে বিদায়ের আয়োজনে বিষন্ন মন নিয়েই উৎসবে মেতেছিলেন ভক্তরা।
এদিকে, নির্বিঘ্নে প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান শেষ করতে বর্তমানে কুমাড়পাড়া, আলুপট্টি, সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ ও র্যাব। এছাড়াও সাদা পাশাকে রয়েছেন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার পূজাম-প থেকে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে করে প্রতিমা নিয়ে এসে পদ্মা নদীতে বিসর্জন করা হচ্ছে।
বিশুদ্ধ পঞ্জিকামতে, এ বছর দেবী দূর্গা এসেছিলেন নৌকায় করে। আর যাচ্ছেন ঘোটকে (ঘোড়া) চড়ে। হিন্দু শাস্ত্রমতে, যার ফল হচ্ছে রোগ, ব্যাধি বাড়বে ও ফসল নষ্ট হবে।
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টির রাজশাহী অঞ্চলের সভাপতি অনিল কুমার খোলা কাগজকে বলেন, ‘রাত ৯টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য সব পূজা মন্ডপে বলা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত শান্তি পূর্ণভাবে এ কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করেন তিনি।’
আরএমপি’র মূখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মোঃ গোলাম রুহুল কুদ্দুস।
কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়ায় ভালো ভাবেই প্রতিমা বিসর্জনের কাজ চলছে। সর্বচ্চো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
মতিহার বার্তা ডট কম ০৮ অক্টোবর ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.